
উপজেলা প্রতিনিধি: হামজা শেখ
রাজবাড়ীর পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আয়োজনে শিক্ষা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাংশা শিল্পকলা একাডেমিতে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মীর মো: আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: জিল্লুল হাকিম (এমপি), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ, কে, এম, শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুবর্ণ রানী সাহা, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, কালুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আলিমুজ্জামান চৌধুরী (টিটো), পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, পাংশা পৌর মেয়র ওয়াজেদ আলী মন্ডল প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: জিল্লুল হাকিম (এমপি) বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে নৌকা মার্কায় ভোট চান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধ স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সমানভাবে দেওয়ার চেষ্টা করি। জ্ঞান ধর্মীয় মূল্যবোধের বিষয়টা মাদ্রাসাতেই বেশি পাওয়া যায়। মাদ্রাসা শিক্ষাটা শুরুই হয়েছিল ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য। তবে সেখানে তিনটি বিষয় সংযুক্ত করে শিক্ষাটাকে সমমান করার চেষ্টা করেছি।মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে আমার দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী, মা বাবা তাদের সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসায় পাঠায় তবে তারা যেনো শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে। এজন্য আলীয়া মাদ্রাসার কারিকুলাম সৃষ্টি হয়েছে, সেটা আন্তর্জাতিক মান সম্মত। তবে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাইভ কিংবা এইটের মর্যাদা পাচ্ছে কিনা আমরা জানি না। তাদের সাথে আমরা কথা বলার চেষ্টা করছি যাতে শিক্ষার্থীরা সমমানের মর্যাদা পায়। তবে অনেক এমপিও মাদ্রাসা আছে যাদের শিক্ষক থাকলেও শিক্ষার্থীর ঘাটতি আছে তবুও সেখানে এমপিও চালু আছে। আমি দেখেছি একটা স্থানে ৭ টি মাদ্রাসায় সর্ব সাফল্যক্রমে ২২ জনের বেশি শিক্ষার্থী নাই, তবে সেখানে ২৫ জনের উপরে শিক্ষক আছে তারা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।