
মোঃ হাফিজুর রহমান রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ টুকু মিজি ও তার পুত্র ফরিদুর রহমান সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বৈধ ব্যবসা পরিচালনায় বাঁধা ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে রাজবাড়ীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৬ মার্চ সোমবার রাজবাড়ীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন ঘটনায় আহত
আরিফের স্ত্রী জৌকুড়া এলাকার মোছাঃ জেসমিন বেগম। মামলার প্রেক্ষিতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সুন্নাহার সুরমা ঘটনা তদন্তের জন্য পিবিআই ফরিদপুরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে প্রকাশ, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টার সময় মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান টুকু মিজি ও তার পুত্র জয়ের নেতৃত্বে চিহ্নিত ২৪ জন সহ অজ্ঞাতনামা মোটর সাইকেলযোগে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ধাওয়াপাড়া ঘাটে জেলা পরিষদ সদস্য আজম মন্ডলের বালুর চাতালের সীমানায় প্রবেশ করে। তারা দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া প্রদর্শন এবং ভয়ভীতির মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় টুকু মিজি সহ লোকজন আজম মন্ডলের বালুর চাতালে বালু ক্রয়-বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয় এবং বালুর চাতালে আগত ক্রেতাদের ও সেখানকার কর্মচারীদের চাতাল থেকে বের করে দিতে বলে। টুকু মিজির নির্দেশে তার পুত্র জয় সহ অন্যান্যরা চাতাল মালিক আজম মন্ডলের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় বালুর চাতালের ম্যানেজার আরিফ ও কর্মচারী ওমর ফারুক এগিয়ে এসে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে টুকু মিজির হুকুমে তাদের দুইজনকে কিল ঘুষি, লাথি সহ লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়া এলোপাতাড়ি মারপিট করে। ফরিদুর রহমান জয় তার হাতে থাকা ধারালো ছ্যানদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আরিফকে কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। ইমন ধারালো ছ্যানদা দিয়ে ওমর ফারুকের মাথায় কোপ দিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। তারা মোঃ টিউলিপ ও মো: আরিফুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া শিমুল চাতালের টোং ঘরের ক্যাশ বাক্স থেকে জোরপূর্বক নগদ এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মারাত্বক আহত অবস্থায় আরিফ ও ওমর ফারুককে রাজবাড়ী এবং মোঃ আরিফুল ইসলামকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজবাড়ী আদালতের আইনজীবি বিপ্লব রায় জানান, মামলার প্রেক্ষিতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়সুন্নাহার সুরমা ঘটনা তদন্তের জন্য পিবিআই ফরিদপুরকে নির্দেশ দিয়েছেন।