
স্টাফ রিপোর্টার
আজ ১৪ই জানুয়ারি বেলা ১১টায় ডাঃ আবুল হোসেন কলেজ সহ বহু সামাজিক প্রতিষ্টানের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আবুল হোসেনের প্রথম জানাযা ডঃ আবুল হোসেন কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় রাজবাড়ী জেলার ডাঃ আবুল হোসেন ট্রাষ্টের সভাপতি জেলা প্রশাসক, মোঃ আবু কায়সার খান তিনি তার বক্তব্যে বলেন উনি এমন একজন দানবীর বাংলাদেশে উনার দাফন করার জন্য নিজের কোনো জমি নাই,উনি সব দান করে গেছেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল মোর্শেদ আরোজ সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, সদর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক বিশ্বাস ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃরাকিবুল হাসান পিয়াল পৌর মেয়র শেখ আলমগীর হোসেন তিতু সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী,বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনগণ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন। মরহুমের বড় ছেলে লন্ডন প্রবাসী ডাঃ নাজমুল হোসেন,ভাগ্নে বধু ঢাকার সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড সানজিদা খাতুন, মরহুমের বড় ভাগ্নে সাবেক পিডিবি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রব মোল্লা, ভায়ড়া ভাই সাবেক জেলা জজ শামসুল হক মরহুমের জন্য উপস্থিত সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। মরহুমের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার জন্ম ভুমি গ্রামের বাড়ি ভবদিয়ায় আলহাজ্ব এম এ করিম উচ্চ বিদ্যালয় এর মাঠে বেলা দুইটায়। জানাযায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। বাবা মায়ের পাশে তাকে শায়িত করা হয়। গত২৪ ডিসেম্বর ইংল্যান্ড সময় সকাল ৯টা বাংলাদেশ সময় বেলা ৩ ঘটিকায় তিনি, একটি নাসিং হোমে মৃত্য বরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।তার মৃত্যুর সংবাদে রাজবাড়ীতে সকল মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে । অনেকদিন যাবত তিনি বার্ধক্য জনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি লন্ডন প্রবাসী দুই সন্তান ডঃ নাজমুল হোসেন এবং ডাঃ নজরুল হোসেন, এবং দেশে আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান।পারিবারিক সূত্রে থেকে জানা যায়।মরহুমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম গত ৮ এপ্রিল ২০২১ করোনা কালীন সময় মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় প্লেন যোগাযোগ বন্ধ থাকায় তাকে দেশে আনা সম্ভব না হওয়ায় তাকে ইংল্যান্ডে সমাধিস্থ করা হয়। ডাঃআবুল হোসেন রাজবাড়ী জেলার ভবদিয়া গ্রামে ১৯৩০সালে ২০ নভেম্বর সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ভাই বোনদের মধ্যে তিনি একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন । বাবা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম ছিলেন তৎকালীন বরাট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ও জুড়ি বোডের সদস্য । রাজবাড়ীতে তিনি আবুল হোসেন কলেজ সহ ডাঃ আবুল হোসেন ট্রাষ্ট, মাদ্রাসা, হাইস্কুল, এতিমখানি, গোরস্থান, মসজিদ, লাইব্রেরী, পোষ্ট অফিস,ক্লাব বাবার নামে এম এ করিম উচ্চ বিদ্যালয়, মায়ের নামে মাদ্রাসা,স্ত্রীর নামে নুরজাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরজাহান হোস্টেল সহ বত্রিশ বিভিন্ন সমাজ সেবা মুলক প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। জীবদ্দশায় বহু গরিব অসহায় মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ কেনার আর্থিক অনুদান।এতিম গরিব মেধাবীদের শিক্ষার জন্য শিক্ষাবৃত্তি। এবং গরীব এতিম মেয়েদের বিয়ের জন্য আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে সমাজ সেবা তথা নেক কাজ করে গেছেন। তিনি আজ বাবা মায়ের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন । বসত ভিটা বাড়িঘর সহ সমস্ত সম্পদ সমাজ ও মানুষের কল্যাণে দিয়ে গেছেন এই মহান দানবীর। চিরদিনের জন্য জায়গা পেলেন মানুষের অন্তরে। অশেষ শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় । যে সমাজে অনেকেই শত মানুষকে নিঃস্ব করে সম্পদের পাহাড় গড়ে করে চলে যান অভিশাপ নিয়ে ভালোবাসা বিহীন ভাবে। সেখানে তিনি অন্যন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন এই দানবীর। ডাঃআবুল হোসেনদের মত মানুষের মৃত্যু নেই। একম মানুষ সমাজে খুব প্রয়োজন।মানুষেরর মাঝে তিনি রবেন অম্লান।শেষ হবেনা তার এই মহান দান।