
ফরিদপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
পল্লব রায়
ফরিদপুর -৩ আসনের নৌকা এবং ঈগলের পাল্টা পাল্টি অভিযোগের মদ্ধে দিয়ে এগিয়ে চলছে প্রচরণা।।
এই আসনে প্রায় ৪ লাখ ভোটারের বেশিরভাগের বসবাস ৩টি চরাঞ্চলসহ ১২টি ইউনিয়নে। এসব ভোটারই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে ভূমিকা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নৌকা নিয়ে আসনটিতে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। আর একই সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল নিয়ে লড়ছেন আব্দুল কাদের আজাদ (একে আজাদ) তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে দুজনই খবরের শিরোনাম হচ্ছেন অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, হামলা-মামলার কারণে। এরই মধ্যে কয়েকবার সহিংসতাও হয়েছে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর কাদের আজাদ অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী সন্ত্রাসী দিয়ে তার কর্মীদের উপর হামলা, ভয়ভীতি দেখালেও প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। অবশ্য নৌকার প্রার্থী শামীম হক এটি অস্বীকার করে বলছেন, ভোটারদের সহানুভূতি আদায় করতেই হামলার নাটক সাজাচ্ছে একে আজাদ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদ বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের দিকে পক্ষপাতিত্ব আছে। নৌকার সমর্থনে সন্ত্রাসীরা আমার কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। প্রাণে মারার ভয়ও দেখানো হচ্ছে। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমি নির্বাচন করছি।’
২০২২ সালের শুদ্ধি অভিযানের পর ফরিদপুরে যে নতুন মেরূকরণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবারের সংসদ নির্বাচনে তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। একে আজাদ প্রার্থী হয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শামীম হককে। উভয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা সহিংসতায় জড়ালেও একে অপরের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ছেন তাঁরা।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ফরিদপুরে কোনো হামলার ঘটনাই ঘটে নাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী বানায় বানায় এসব বলে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস- এসব বলে উনি (একে আজাদ) ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। এছাড়া ফরিদপুরে কিছু হয়নাই। যা হয়েছে উনার লোকরা করছে। উনার লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এই দুই প্রার্থী ছাড়াও আসনটিতে জাতীয় পার্টি, বিএনএমসহ কয়েকটি দলের আরও ৬ জন লড়ছেন।