রাজবাড়ী ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরের সাহেবনগর গ্রামের নার্গিস হত‍্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

মেহেরপুরের সাহেবনগর গ্রামের নার্গিস হত‍্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

হিরক খান, মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা সাহেবনগর গ্রামের নার্গিস হত্যা মামলার দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তিনটি ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

রবিবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ দণ্ডাদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-গাংনী উপজেলা সাহেবনগর গ্রামের ফোরকান আলীর ছেলে বাশারুল ইসলাম ও জামিল হোসেনের ছেলে ফরজ আলী।

আসামি দুজনই পলাতক রয়েছে। অপর আসামি ইয়াকুব আলী ২০২১ সালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট বামুন্দি আল ফালাহ ক্লিনিকের সামনে থেকে নার্গিস খাতুন নিখোঁজ হন। পরে তার মেয়ে তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

অপহরণ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি ফরজ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ২৪ জানুয়ারি বাসারুল ইসলামের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নার্গিস খাতুনের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ১৪ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কাজী শহীদুল হক এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

Tag :

মেহেরপুরের সাহেবনগর গ্রামের নার্গিস হত‍্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত : ০৩:৩১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

মেহেরপুরের সাহেবনগর গ্রামের নার্গিস হত‍্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

হিরক খান, মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা সাহেবনগর গ্রামের নার্গিস হত্যা মামলার দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তিনটি ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

রবিবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ দণ্ডাদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-গাংনী উপজেলা সাহেবনগর গ্রামের ফোরকান আলীর ছেলে বাশারুল ইসলাম ও জামিল হোসেনের ছেলে ফরজ আলী।

আসামি দুজনই পলাতক রয়েছে। অপর আসামি ইয়াকুব আলী ২০২১ সালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট বামুন্দি আল ফালাহ ক্লিনিকের সামনে থেকে নার্গিস খাতুন নিখোঁজ হন। পরে তার মেয়ে তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

অপহরণ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি ফরজ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ২৪ জানুয়ারি বাসারুল ইসলামের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নার্গিস খাতুনের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ১৪ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কাজী শহীদুল হক এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।