রাজবাড়ী ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবিতা -কাঁদে কারবালা

মোঃ আতাউর রহমান


হোসেনের তাঁবুতে পানি নাই পানি নাই।
ফোরাতে তীর ঘেরা এজিদের সেনারাই।
হায়দারী হুঙ্কারে চলে,কে রণেতে।
নাকারার শুর বাজে শক্রুর তাবুতে।
কারবালা-প্রান্তর কাপে ডরে থরথর!
তাজা খুনে রঞ্জিত একি হলো কারবার!
আজগর ঝরেযায় পানিবিনে তাজা ফুল।
আক্রোশে কেঁপেওঠে রণে সাজাদুল্ দুল্।
মুছে যায় মেহেদী নববধূ সকিনার
বর বেশে রণেতে,ফেরেনা কাশেম আর।
ফাতিমার শোক বেশ ধরণী থেমে যায়।
আরশের ছাদ কাপে সুর ভাসে হায় হায়!
ঝকঝকে খঞ্জর ধরি জোর কব্জায়।
হোসেনের দুলদুল ছুটে ধুম দুর্জয়।
দুশমুন থরথর,হাক শুনি হায়দার।
কাটা যাবে শির সব,নাহি আজ নিস্তার!
শত্রুর খুন মেরে নামে শাহ্ ফোরাতে।
ক্লান্ত সে অবয়বে পানি তুলে দু-হাতে।
বাচাদের মনে পরে,তোলা পানি পড়ে যায়।
আড়ালের ছোড়া তির,গর্দানে বসে যায়।
বিষে দেহ জার জার হলো দেহ ধরাশাই।
শির নিল সীমারে, বুকে তার দিল নাই।
মুসলিমে মহাররম ত‍্যাগ,বল বির্যের।
সংযম,শক্তির,বেদনার ধৈর্যের।
হোসেনের হিম্মত শের সম শক্তি।
ইনসানে দিবে এনে,দু কুলের মুক্তি।
কামনা এই শুধু,নাহি চাহি কিছু আর।
ফরিয়াদ পুরা কর, জননী মা ফাতিমার!
আহাজারি কান্না নারীদের শোক বেস।
শিশুদের কচি মুখ ভয়ে প্রাণ নিঃশেষ।
নির্মম খঞ্জর চলে তবু আহারে।
লু হাওয়া লয়ে বুকে কাঁদে মরু সাহারে।
কাঁদে কারবালা ঐ, হোসেনা হোসেনা।
দুনিয়া শোন এই, ত‍্যাগ যেন মুছেনা।
জালেমির অবসানে দিলো শির কোরবান।
হোসেনের শক্তিতে জাগো যত ইনসান।
“””””””’

Tag :
About Author Information

কবিতা -কাঁদে কারবালা

প্রকাশিত : ০৬:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

মোঃ আতাউর রহমান


হোসেনের তাঁবুতে পানি নাই পানি নাই।
ফোরাতে তীর ঘেরা এজিদের সেনারাই।
হায়দারী হুঙ্কারে চলে,কে রণেতে।
নাকারার শুর বাজে শক্রুর তাবুতে।
কারবালা-প্রান্তর কাপে ডরে থরথর!
তাজা খুনে রঞ্জিত একি হলো কারবার!
আজগর ঝরেযায় পানিবিনে তাজা ফুল।
আক্রোশে কেঁপেওঠে রণে সাজাদুল্ দুল্।
মুছে যায় মেহেদী নববধূ সকিনার
বর বেশে রণেতে,ফেরেনা কাশেম আর।
ফাতিমার শোক বেশ ধরণী থেমে যায়।
আরশের ছাদ কাপে সুর ভাসে হায় হায়!
ঝকঝকে খঞ্জর ধরি জোর কব্জায়।
হোসেনের দুলদুল ছুটে ধুম দুর্জয়।
দুশমুন থরথর,হাক শুনি হায়দার।
কাটা যাবে শির সব,নাহি আজ নিস্তার!
শত্রুর খুন মেরে নামে শাহ্ ফোরাতে।
ক্লান্ত সে অবয়বে পানি তুলে দু-হাতে।
বাচাদের মনে পরে,তোলা পানি পড়ে যায়।
আড়ালের ছোড়া তির,গর্দানে বসে যায়।
বিষে দেহ জার জার হলো দেহ ধরাশাই।
শির নিল সীমারে, বুকে তার দিল নাই।
মুসলিমে মহাররম ত‍্যাগ,বল বির্যের।
সংযম,শক্তির,বেদনার ধৈর্যের।
হোসেনের হিম্মত শের সম শক্তি।
ইনসানে দিবে এনে,দু কুলের মুক্তি।
কামনা এই শুধু,নাহি চাহি কিছু আর।
ফরিয়াদ পুরা কর, জননী মা ফাতিমার!
আহাজারি কান্না নারীদের শোক বেস।
শিশুদের কচি মুখ ভয়ে প্রাণ নিঃশেষ।
নির্মম খঞ্জর চলে তবু আহারে।
লু হাওয়া লয়ে বুকে কাঁদে মরু সাহারে।
কাঁদে কারবালা ঐ, হোসেনা হোসেনা।
দুনিয়া শোন এই, ত‍্যাগ যেন মুছেনা।
জালেমির অবসানে দিলো শির কোরবান।
হোসেনের শক্তিতে জাগো যত ইনসান।
“””””””’