স্টাফ রিপোর্টার

ফোন করে প্রতারক চক্রের প্রতারণার চেষ্টা,বর্তমান প্রতারক চক্রের নতুন এক কৌশলনিয়ে মাঠে নেমেছে। বাবা কিংবা মাকে ফোন দিয়ে বলে, সন্তানের নাম্বার ক্লোন করে অথবা অন্য নাম্বার থেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে, বলে আপনার ছেলে মাদক, অস্ত্র, নারী ঘঠিত যে কোনো একটা বানেয়াট ঘটনার কথা বলে, পুলিশ পরিচয়ে বলে আপনার ছেলে কয়েক বন্ধুসহ আমাদের কাছে আটক আছে। যদি কোর্টে চালানের আগে তাকে ছাড়াতে চান এখনই দ্রুত টাকা পাঠান।অনেকেই তাদের সন্তানকে এভাবে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। এই বলে একটা বিকাশ বা রকেট নাম্বার দিয়ে মোটা অংকের টাকা পাঠাতে বলে। আপনার সন্তানের সাথে কথা বলার আগে টাকা দিলেন তো ধরা খেলেন।
বিশ্বাস করার জন্য বলে আপনার ছেলের সাথে কথা বলেন, তখন ঐ চক্রের সদস্য দিয়ে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে বাবা আমাকে বাঁচাও। কখনো বলে  বাবা কাউকে বলো না,তাহলে আমি আত্মহত্যা করব। টাকা দেয়ার জন্য মা বাবাকে এভাবে বিভ্রান্ত করে। মানসিক চাপ সৃষ্টি করে প্রতারক চক্র।
রাজবাড়ীতে ইতিপূর্বে কয়েকজন শিক্ষক, অভিভাবক এর কাছ থেকে এমনি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।
গত ২৬ তারিখে এই প্রতারক চক্র, শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার, কল্যানপুর স্কুলের লতিফা রহমান, পুলিশ লাইন স্কুলের সেহেলি নার্গিস  তিন প্রধান শিক্ষকের নিকট একই কায়দায় ফোন করে টাকা পাঠাতে বলে। শ্রীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, নাসিমা আক্তার ভয়ে তড়িঘড়ি ব্যাংক থেকে এক লক্ষ টাকা তুলে প্রতারক চক্রের দোয়া বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে প্রস্তুতি নেয়। ইতিমধ্যে তার ছেলে ডাঃ মোঃ মাইনুল হোসেন খান, এর সাথে ফোন করে কথা বললে বিষয়টা পরিষ্কার হয়, প্রতারক চক্রের মিশন ফেল হয়। এ যাত্রায় রক্ষা পায় ঐ প্রধান শিক্ষক। বেঁচে যায় এক লক্ষ টাকা। অন্য দুই প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জেনে  একইভাবে রক্ষা পায়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের ছেলে,ডাঃ মোঃ মাইনুল হোসেন খান ,রাজবাড়ী থানায় প্রতারক চক্রের ফোন করা মোবাইল নাম্বার ০১৩৩৯১৮৬৭৯৯ এবং তাদের পাঠানো বিকাশ নাম্বার ০১৯৭৯২৪০৩৬৮ ,রকেট নাম্বার ০১৯৭৯৯২৪০৩৬উল্লেখ করে রাজবাড়ী থানা ২৬/০৬/২০২৫ তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরি করে।    প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে অভিভাবক গণকে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ জানান,এই প্রধান শিক্ষক।
এ ধরনের ঘটনা ঘটলে মাথা ঠান্ডা করে আগের সন্তানের ফোন নাম্বারে ফোন দিয়ে তার সাথে কথা বলুন।
প্রতারক চক্রের হাত থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখুন। ফেসবুক হ্যাক করে মেসেঞ্জারে টাকা চেয়ে প্রতারক চক্র
ফেসবুক বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া সহসাই ঘটে থাকে। যে পরিচয়েই হোক ফোন দিয়ে কেউ কোন সংখ্যা  জানতে চাইলে জানাবেন না।মেসেঞ্জারে জরুরী কোন বন্ধু টাকা চাইলে তার সাথে ফোনে কথা বলে নিশ্চিত হন। চ্যাটিং করলেই টাকা দিলেন তো চিটিং এর খপ্পরে পড়ে গেলেন। অর্থ হারালেন ধরা খেলেন।
সাবধান,সচেতনতা,
সুরক্ষার গোপন কথা।