রাজবাড়ী ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ

রাজবাড়ীর খানখানাপুর স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে যাত্রাবিরতি চেয়ে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী

 

রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর রেলস্টেশনে রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা চন্দনা কমিউটার ট্রেনসহ এ রুটে চলাচলরত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেনের গতিরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

এ সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি খানখানাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছালে গতিরোধ করে ট্রেনের সামনে অবস্থান নেন স্থানীয়রা। ৫ মিনিট আটকে রাখার পর বিক্ষুব্ধরা সরে গেলে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী খানখানাপুর রেলস্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

মানবন্ধনকারীদের দাবি, খানখানাপুর স্টেশন দিয়ে আসা তিনটি আন্তনগর ও দুটি কমিউটার ট্রেন এ রুট দিয়ে ঢাকা গমন করে। কিন্তু খানখানাপুরের ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী তিনটি আন্তনগর ও দুটি কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করে না। ফলে প্রতিদিন মানুষের নানাবিধ ভোগান্তি সহ্য করে ঢাকা যেতে হয়। এলাকাবাসী খানখানাপুর স্টেশনে ঢাকাগামী সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান। তারা জানান, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে খানখানাপুরে যাত্রাবিরতি দেবেন।

তারা আরও বলেন, স্থানীয় চাকরিজীবী ও সাধারণ জনগণকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ট্রেনের বিরতি দিলে সবাই উপকৃত হবে। আমাদের রাজবাড়ীবাসী গর্বিত যে পূর্ণ একজন রেলমন্ত্রী পেয়েছি। তাই মাননীয় মন্ত্রীর নিকট আবেদন রইলো তিনি যেন ঐতিহ্যবাহী খানখানাপুর স্টেশনে সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির নির্দেশ দেন।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর খানখানাপুর স্টেশনে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছিলো স্থানীয়রা। এবারের মানববন্ধনেও খানখানাপুর স্টেশনে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন পৌঁছালে ১০ মিনিটের জন্য থামিয়ে দেয় স্থানীয় জনতা।

ঢাকাস্থ খানখানাপুর সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রশিদ মাহাতাব, খানখানাপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান ও যুব সমাজের আইকন মো: আতিক আল আলম, খানখানাপুর বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ মামুন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ জেলা শাখার সভাপতি মাকসুদুর রহমান শাওন, খানখানাপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান বাদশা, খানখানাপুর ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. কাউছার মাহমুদ,খানখানাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাউদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান সৌরভসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। এ ছাড়াও এ সময় খানখানাপুরের সর্বস্তরের দুই শতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, খানখানাপুরসহ আশপাশে এলাকার যাত্রীদের ঢাকা যাওয়ার সুবিধার্থে খানখানাপুর রেল স্টেশনে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনসহ, সব ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বরে একই দাবিতে ট্রেন থামিয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয় আন্দোলন থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় আবার মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেয়া হয়। এরপরেও যদি এখানে যাত্রা বিরতি না দেয়া হয় এ থেকে আর দুঃখজনক হতে পারে না।

Tag :

রাজবাড়ীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবী  কমরেড নেতা আশুভরদ্বাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রাজবাড়ীর খানখানাপুর স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে যাত্রাবিরতি চেয়ে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী

প্রকাশিত : ০৫:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

 

রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী

রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর রেলস্টেশনে রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা চন্দনা কমিউটার ট্রেনসহ এ রুটে চলাচলরত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেনের গতিরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

এ সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি খানখানাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছালে গতিরোধ করে ট্রেনের সামনে অবস্থান নেন স্থানীয়রা। ৫ মিনিট আটকে রাখার পর বিক্ষুব্ধরা সরে গেলে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী খানখানাপুর রেলস্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

মানবন্ধনকারীদের দাবি, খানখানাপুর স্টেশন দিয়ে আসা তিনটি আন্তনগর ও দুটি কমিউটার ট্রেন এ রুট দিয়ে ঢাকা গমন করে। কিন্তু খানখানাপুরের ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী তিনটি আন্তনগর ও দুটি কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করে না। ফলে প্রতিদিন মানুষের নানাবিধ ভোগান্তি সহ্য করে ঢাকা যেতে হয়। এলাকাবাসী খানখানাপুর স্টেশনে ঢাকাগামী সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান। তারা জানান, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে খানখানাপুরে যাত্রাবিরতি দেবেন।

তারা আরও বলেন, স্থানীয় চাকরিজীবী ও সাধারণ জনগণকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ট্রেনের বিরতি দিলে সবাই উপকৃত হবে। আমাদের রাজবাড়ীবাসী গর্বিত যে পূর্ণ একজন রেলমন্ত্রী পেয়েছি। তাই মাননীয় মন্ত্রীর নিকট আবেদন রইলো তিনি যেন ঐতিহ্যবাহী খানখানাপুর স্টেশনে সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির নির্দেশ দেন।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর খানখানাপুর স্টেশনে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন করেছিলো স্থানীয়রা। এবারের মানববন্ধনেও খানখানাপুর স্টেশনে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন পৌঁছালে ১০ মিনিটের জন্য থামিয়ে দেয় স্থানীয় জনতা।

ঢাকাস্থ খানখানাপুর সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রশিদ মাহাতাব, খানখানাপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান ও যুব সমাজের আইকন মো: আতিক আল আলম, খানখানাপুর বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ মামুন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ জেলা শাখার সভাপতি মাকসুদুর রহমান শাওন, খানখানাপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান বাদশা, খানখানাপুর ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. কাউছার মাহমুদ,খানখানাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাউদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান সৌরভসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। এ ছাড়াও এ সময় খানখানাপুরের সর্বস্তরের দুই শতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, খানখানাপুরসহ আশপাশে এলাকার যাত্রীদের ঢাকা যাওয়ার সুবিধার্থে খানখানাপুর রেল স্টেশনে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনসহ, সব ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বরে একই দাবিতে ট্রেন থামিয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয় আন্দোলন থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় আবার মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেয়া হয়। এরপরেও যদি এখানে যাত্রা বিরতি না দেয়া হয় এ থেকে আর দুঃখজনক হতে পারে না।