রাজবাড়ী ০২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বর্ষা আসার আগেই ভাঙন শুরু

রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী

অসময়ের পদ্মা নদীর ভাঙনে দৌলতদিয়া ৬ নং ফেরিঘাটটি নদীগর্ভে বিলীন হতে বসেছে। সময় মতো পদক্ষেপ না নিলে ঘাটসম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে বিলীন হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,পদ্মা নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়া নদীতে তুফান সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে নদীর পাড়গুলো ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বারবার বলেছে আমরা খুব তাড়াতাড়ি নদীর পাড় দিয়ে জিও ব্যাগ ফেলবো কিন্তু ফেলেন। জিও ব্যাগ নদীর পাড় দিয়ে ফেললে আজ এই নদীর ভাঙন সৃষ্টি হতো না। সম্পন্ন তাদের গাফিলতির কারণে অসময়ে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে । নদী ভাঙনের কারণে ঘাটের পাশে থাকা ঘরবাড়ি ও কয়েকটি দোকান রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। স্থানীয়রা পুরাতন জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করছে।

দোকানদার কিসমত আলী জানান, আজ দুই বছর যাবত ৬ নং ফেরিঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি’র কর্তৃপক্ষ বারবার বলেছে আমরা এখানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করব। কিন্তু তারা জিও ব্যাক ফেলিনি। জিও ব্যাগ না ফেলার কারণে আজ নতুন করে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এই ভাঙনের কারণে এখন আমার দোকান ও বাড়ি অন্য জায়গায় সরে নিতে হচ্ছে। এই ভাঙনে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম। আমার আর কিছুই থাকল না।
ঘাটে খাজা বিক্রেতা ইসমাইল বলেন, সকাল ৭ নং ফেরি ঘাট হতে পা হেটে ৬ নং ফেরি ঘাটে এসে দেখি বিশাল বিশাল চাপ নিয়ে নদীতে দেবে যাচ্ছে। চোখের পলকে নদীর পাড়ের রাস্তাটি নদীতে চলে গেল। পাশের দোকান বাড়িটি আজকে না সরালে রাতের মধ্যে নদীতে চলে যাবে। আমরা যারা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি তারাই শুধু জানি নদী ভাঙনের জ্বালাটা কি। আমার বাবার ১৪ বিঘা জমি ছিলো আমরা খুব ভালো জীবনযাপন করছিলাম। নদীতে বাড়ি ভাঙার কারণে আজ ফেরিঘাটে খাজা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন সরকার যেনো আমাদের নদী ভাঙন শাসন করে দেয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডাব্লিউটিএ আরিচা বন্দরের উপ-প্রকৌশলী রিশাদ আহম্মেদ বলেন, নদীর পানি কমে যাওয়ায় কিছু জিও ব্যাগ সরে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে সঙ্গে কথা বলে কিছু জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা হবে।

Tag :

রাজবাড়ীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবী  কমরেড নেতা আশুভরদ্বাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বর্ষা আসার আগেই ভাঙন শুরু

প্রকাশিত : ০১:৩৭:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী

অসময়ের পদ্মা নদীর ভাঙনে দৌলতদিয়া ৬ নং ফেরিঘাটটি নদীগর্ভে বিলীন হতে বসেছে। সময় মতো পদক্ষেপ না নিলে ঘাটসম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে বিলীন হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,পদ্মা নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়া নদীতে তুফান সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে নদীর পাড়গুলো ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বারবার বলেছে আমরা খুব তাড়াতাড়ি নদীর পাড় দিয়ে জিও ব্যাগ ফেলবো কিন্তু ফেলেন। জিও ব্যাগ নদীর পাড় দিয়ে ফেললে আজ এই নদীর ভাঙন সৃষ্টি হতো না। সম্পন্ন তাদের গাফিলতির কারণে অসময়ে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে । নদী ভাঙনের কারণে ঘাটের পাশে থাকা ঘরবাড়ি ও কয়েকটি দোকান রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। স্থানীয়রা পুরাতন জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করছে।

দোকানদার কিসমত আলী জানান, আজ দুই বছর যাবত ৬ নং ফেরিঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি’র কর্তৃপক্ষ বারবার বলেছে আমরা এখানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করব। কিন্তু তারা জিও ব্যাক ফেলিনি। জিও ব্যাগ না ফেলার কারণে আজ নতুন করে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এই ভাঙনের কারণে এখন আমার দোকান ও বাড়ি অন্য জায়গায় সরে নিতে হচ্ছে। এই ভাঙনে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম। আমার আর কিছুই থাকল না।
ঘাটে খাজা বিক্রেতা ইসমাইল বলেন, সকাল ৭ নং ফেরি ঘাট হতে পা হেটে ৬ নং ফেরি ঘাটে এসে দেখি বিশাল বিশাল চাপ নিয়ে নদীতে দেবে যাচ্ছে। চোখের পলকে নদীর পাড়ের রাস্তাটি নদীতে চলে গেল। পাশের দোকান বাড়িটি আজকে না সরালে রাতের মধ্যে নদীতে চলে যাবে। আমরা যারা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি তারাই শুধু জানি নদী ভাঙনের জ্বালাটা কি। আমার বাবার ১৪ বিঘা জমি ছিলো আমরা খুব ভালো জীবনযাপন করছিলাম। নদীতে বাড়ি ভাঙার কারণে আজ ফেরিঘাটে খাজা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন সরকার যেনো আমাদের নদী ভাঙন শাসন করে দেয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডাব্লিউটিএ আরিচা বন্দরের উপ-প্রকৌশলী রিশাদ আহম্মেদ বলেন, নদীর পানি কমে যাওয়ায় কিছু জিও ব্যাগ সরে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে সঙ্গে কথা বলে কিছু জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা হবে।