রাজবাড়ী ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ

শেকাড়া হযরত শাহ পালোয়ান শাহ ( রঃ) মাজার শরীফ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

  • রাজবাড়ী সময় ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৭:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪
  • ৫৭১ বার পড়া হয়েছে

মোঃইমদাদুল হক রানা

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, ঈদ শব্দটা শুনলেই খুশিতে মন ভরে যায়।
ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর বার্ষিক দুই ঈদ উৎসবের একটি ধর্মীয় বিধান। পবিত্র রমজান মাসের ৩০ দিন রোজা বা সংযম সাধনা শেষে ভালোবাসা, সাম্য-সম্প্রীতির বন্ধন বার্তা নিয়ে আসে খুশির ঈদ। এই দিনে ফজরের নামাজের পর ঈদের নামাজের প্রস্তুতি নিতে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আর ঈদের জামাতের জন্য স্থানীয় ঈদগাহ ও মসজিদগুলো সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন করে । কোন কোন স্হানে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১১) সকাল ৯টায় রাজবাড়ী জেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শেকাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী হযরত শাহ পালোয়ান শাহ (রঃ) এর (পূর্ব-পশ্চিম কবর সম্বলিত) মাজার শরিফ ও হযরত শাহ পালোয়ান শাহ জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে জামাতে নামাজ আদায় করতে আসেন বিভিন্ন এলাকার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা গোসল সেরে, নতুন পাঞ্জাবি ও সুগন্ধি গায়ে দিয়ে ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হন। কেউ বৃদ্ধ বাবাকে, কেউ নিজের ছোট সন্তানকে, কেউ আবার বন্ধুদের নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন জায়নামাজ সহ। মসজিদের ইমাম সাহেব মোঃ আশরাফুল ইসলামের ঈমামতিতে জামাতে নামাজ আদায় শেষে মনোযোগ দিয়ে খুদবা শোনেন। এরপর দেশ ও জাতি সহ সবার মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন।ঈদগাহ ময়দানে প্রত্যেক মুসল্লি নিজ পরিচিত-পরিজনের সঙ্গে কোলাকুলি করেন কুশল বিনিময় করেন। মসজিদের সামনে বসে থাকা গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে দান-খয়রাত বন্টন করেন।

ছেলেকে নিয়ে ঈদে আসা রকিবুল ইসলাম বলেন, ঈদের আনন্দ শুরু হয় ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে। সবার মাঝে পবিত্রতা ও উৎসব আমেজ থাকে। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আসছি সেই উৎসবে শরিক হতে।
ঈদের দিন জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা যান স্থানীয় কবরস্থানে। সেখানে স্বজনের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে দোয়া করেন। কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ কেউ ছোট সন্তানকে কবরস্থানে সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন।
দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে আসেন মনজুরুল হক মন্নু । তিনি বলেন, সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসার কারণ, আমি চাই আমার যেমন করে আমার মৃত বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে, আমার সন্তানরাও যেন অভ্যস্ত হয়, আমার মৃত্যুর পর এভাবেই কবরের পাশে এসে আমার দোয়া করে যায়। ফুড ইন্সপেক্টর কাজী পনিরুজ্জামান পনির, মসজিদের সেক্রেটার খন্দকার মিরাজুর রহমান সান্টু,মসজিদের ক্যাশিয়ার সিরাজ মন্ডল, শিক্ষকগণ সমাজের গুণী ব্যক্তি ব্যক্তিগন সহ ২ সহস্রাধিক লোক এই জামাতে অংশ গ্রহণ করে।

Tag :

রাজবাড়ীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবী  কমরেড নেতা আশুভরদ্বাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

শেকাড়া হযরত শাহ পালোয়ান শাহ ( রঃ) মাজার শরীফ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত : ০৭:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪

মোঃইমদাদুল হক রানা

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, ঈদ শব্দটা শুনলেই খুশিতে মন ভরে যায়।
ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর বার্ষিক দুই ঈদ উৎসবের একটি ধর্মীয় বিধান। পবিত্র রমজান মাসের ৩০ দিন রোজা বা সংযম সাধনা শেষে ভালোবাসা, সাম্য-সম্প্রীতির বন্ধন বার্তা নিয়ে আসে খুশির ঈদ। এই দিনে ফজরের নামাজের পর ঈদের নামাজের প্রস্তুতি নিতে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আর ঈদের জামাতের জন্য স্থানীয় ঈদগাহ ও মসজিদগুলো সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন করে । কোন কোন স্হানে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১১) সকাল ৯টায় রাজবাড়ী জেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শেকাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী হযরত শাহ পালোয়ান শাহ (রঃ) এর (পূর্ব-পশ্চিম কবর সম্বলিত) মাজার শরিফ ও হযরত শাহ পালোয়ান শাহ জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে জামাতে নামাজ আদায় করতে আসেন বিভিন্ন এলাকার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা গোসল সেরে, নতুন পাঞ্জাবি ও সুগন্ধি গায়ে দিয়ে ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হন। কেউ বৃদ্ধ বাবাকে, কেউ নিজের ছোট সন্তানকে, কেউ আবার বন্ধুদের নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন জায়নামাজ সহ। মসজিদের ইমাম সাহেব মোঃ আশরাফুল ইসলামের ঈমামতিতে জামাতে নামাজ আদায় শেষে মনোযোগ দিয়ে খুদবা শোনেন। এরপর দেশ ও জাতি সহ সবার মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন।ঈদগাহ ময়দানে প্রত্যেক মুসল্লি নিজ পরিচিত-পরিজনের সঙ্গে কোলাকুলি করেন কুশল বিনিময় করেন। মসজিদের সামনে বসে থাকা গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে দান-খয়রাত বন্টন করেন।

ছেলেকে নিয়ে ঈদে আসা রকিবুল ইসলাম বলেন, ঈদের আনন্দ শুরু হয় ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে। সবার মাঝে পবিত্রতা ও উৎসব আমেজ থাকে। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আসছি সেই উৎসবে শরিক হতে।
ঈদের দিন জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা যান স্থানীয় কবরস্থানে। সেখানে স্বজনের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে দোয়া করেন। কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ কেউ ছোট সন্তানকে কবরস্থানে সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন।
দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে আসেন মনজুরুল হক মন্নু । তিনি বলেন, সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসার কারণ, আমি চাই আমার যেমন করে আমার মৃত বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে, আমার সন্তানরাও যেন অভ্যস্ত হয়, আমার মৃত্যুর পর এভাবেই কবরের পাশে এসে আমার দোয়া করে যায়। ফুড ইন্সপেক্টর কাজী পনিরুজ্জামান পনির, মসজিদের সেক্রেটার খন্দকার মিরাজুর রহমান সান্টু,মসজিদের ক্যাশিয়ার সিরাজ মন্ডল, শিক্ষকগণ সমাজের গুণী ব্যক্তি ব্যক্তিগন সহ ২ সহস্রাধিক লোক এই জামাতে অংশ গ্রহণ করে।