
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন শামীমা আক্তার মুনমুন। পেশায় কলেজ শিক্ষক শামীমা আক্তার রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বারের মেয়ে। ইতিমধ্যে তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন।
শামীমা আক্তার মুনমুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে স্নাতকোত্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেছেন । বর্তমানে তিনি ডা. আবুল হোসেন কলেজে সহকারী অধ্যাপক ও দর্শন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে জেলা বার এসোসিয়েশনে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। তার মা শরীফা বেগম একজন জয়িতা, পদকপ্রাপ্ত, শিক্ষক (অবঃ) ও সমাজকর্মী। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজনীতিবিদ সাবেক চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ, রাজবাড়ী।
১৯৭১ সনে ২১শে এপ্রিল পাকবাহিনীর সাথে সম্মূখযুদ্ধে শহীদ হন আমার দাদু ফকীর মহিরুদ্দীন। বড় ভাই ড. ফকীর শহিদুল ইসলাম সুমন কলকাতা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চাঙ্গ সংগীত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন, বর্তমানে সরকারি সংগীত কলেজ ঢাকায় অধ্যাপনা করছেন। ছোট ভাই চাকুরীজীবী ও সংস্কৃতিকর্মী ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিষয়ে ¯œাতোকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। জমজ কন্যা এরিন ও কুইন দু’জন শিল্পী ও কৃতিছাত্রী। শামীমা আক্তার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮ ও ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় রাজবাড়ী জেলায় কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদা অর্জন করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজবাড়ী জেলায় জয়িতা পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি নিজেও একজন উদ্যোক্তা, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী, সাংবাদিক এবং সংস্কৃতিসেবী। সমাজকর্মের উপর সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে নানাবিধ প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং বিভিন্ন পর্যায়ে পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচীতে জড়িত দীর্ঘদিন যাবৎ।
এছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজবাড়ী জেলা ইউনিটের সাবেক নির্বাচিত সেক্রেটারি তিনি। করোনা মহামারীতে একজন সম্মুখসারির স্বেচ্ছাসেবী ও মানবতাকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার নিজের ও তার কন্যার ৫টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যে তার লেখা গানের সিডিও প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকা, স্পেন, মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল ও লন্ডন ভ্রমণ করেছেন তিনি। বাংলাদেশে রবীন্দ্র শিক্ষাদর্শন ও প্রয়োগবাদী শিক্ষাদর্শন তার কর্মক্ষেত্রের অনেকাংশ জুড়ে রয়েছে। তৃণমূল মানুষের জন্যে বিশেষ করে অবহেলিত নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্বেচ্ছাশ্রমে নিরলস কাজ করে চলেছেন শামীমা আক্তার। তার ছোট কন্যা কুইন প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় দুইবার জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর মর্যাদা অর্জন করেছে।
শামীমা আক্তার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষাকালীন সময়ে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। রাজবাড়ী আওয়ামীলীগের সকল কর্মসূচির মিছিল ও সমাবেশে নারী কর্মী হিসেবে প্রকম্পিত করেছেন স্লোগানে স্লোগানে। রাজবাড়ী সদর উপজেলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য। বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম (আসাফো) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সকল উন্নয়ন কর্মসূচি আমি আমার কর্মক্ষেত্রসহ সকল জায়গায় প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখেন তিনি। দুস্থ ও গরীব দুঃখী মানুষের সার্বিক সহযোগিতা দিতে সার্বক্ষনিক কাজ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ। দেশের উন্নয়নে এ চেতনায় কাজ করতে চান।
শামীমা আক্তার মুনমুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এটাই আমার আবেদন। এ ছাড়াও দেশের সকল উন্নয়নে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ চাই। আপনাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি। দেশ ও দশের কাজে শ্রম মেধা ও সময় দিতে হয়। আমি আপনাদের দোয়ায় তা দিয়ে যাচ্ছি। সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেলে আমি দেশের উন্নয়নে সার্বিকভাবে আত্মনিয়োগ করতে পারবো ইনশাল্লাহ।