রাজবাড়ী ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে তীরে ভিড়েছে   ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা

  • রাজবাড়ী সময় ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ০৩:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৫৯৩ বার পড়া হয়েছে

গোয়ালন্দ প্রতিনিধি :

পাটুরিয়া নং ঘাটের অদূরে পদ্মায় ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যাওয়ার ৮ম দিন বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে তীরে ভিড়িয়েছে উদ্ধার জাহাজ প্রত্যয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস বিআইডব্লিউটিএর যৌথ প্রচেষ্টায় ফেরিটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার ইউনিট প্রধান বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘পদ্মায় নিমজ্জিত ফেরিটি তীব্র স্রোতে নদীর তলদেশে উল্টে ছিল। উল্টে থাকা ফেরিটিতে গত কয়েক দিনে ক্রমাগত পলি জমে ওজন আরও বেড়ে যায়। ২৪০ টন ওজনের ফেরিটি ৩০০ টন ছাড়িয়ে যায়। ফলে উদ্ধার জাহাজ হামজা রুস্তম ফেরিটি তুলতে ব্যর্থ হলে ঘটনার দুদিন পর উদ্ধারকাজে যুক্ত হয় সংস্থার শক্তিশালী উদ্ধার জাহাজ প্রত্যয়। প্রত্যয়ের ভার উত্তোলন সক্ষমতা ২৫০ টন, ফলে এতেও উদ্ধার কাজ ব্যাহত হতে থাকে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে কাজে অংশ নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ফেরিটি সোজা অবস্থায় নদীর তীরে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন বলেন, ‘নদীতে প্রবল স্রোত, কুয়াশা কনকনে শীতে উদ্ধার কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাহত হলেও বিভিন্ন উদ্ধার সরঞ্জাম প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডুবন্ত ফেরিটি পদ্মার গভীর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়ার নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ৯টি যানবাহনসহ ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যায়। দুর্ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনে পদ্মায় ভাসমান অবস্থায় ফেরির ইঞ্জিন চালকের লাশ উদ্ধার হয়। অষ্টম দিনে আরও একটি ট্রাকসহ মোট ৮টি ট্রাক উদ্ধার হয়েছে। আরও একটি ট্রাক এখনো উদ্ধার হয়নি।

Tag :

অবশেষে তীরে ভিড়েছে   ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা

প্রকাশিত : ০৩:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

গোয়ালন্দ প্রতিনিধি :

পাটুরিয়া নং ঘাটের অদূরে পদ্মায় ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যাওয়ার ৮ম দিন বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে তীরে ভিড়িয়েছে উদ্ধার জাহাজ প্রত্যয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস বিআইডব্লিউটিএর যৌথ প্রচেষ্টায় ফেরিটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার ইউনিট প্রধান বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘পদ্মায় নিমজ্জিত ফেরিটি তীব্র স্রোতে নদীর তলদেশে উল্টে ছিল। উল্টে থাকা ফেরিটিতে গত কয়েক দিনে ক্রমাগত পলি জমে ওজন আরও বেড়ে যায়। ২৪০ টন ওজনের ফেরিটি ৩০০ টন ছাড়িয়ে যায়। ফলে উদ্ধার জাহাজ হামজা রুস্তম ফেরিটি তুলতে ব্যর্থ হলে ঘটনার দুদিন পর উদ্ধারকাজে যুক্ত হয় সংস্থার শক্তিশালী উদ্ধার জাহাজ প্রত্যয়। প্রত্যয়ের ভার উত্তোলন সক্ষমতা ২৫০ টন, ফলে এতেও উদ্ধার কাজ ব্যাহত হতে থাকে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে কাজে অংশ নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ফেরিটি সোজা অবস্থায় নদীর তীরে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন বলেন, ‘নদীতে প্রবল স্রোত, কুয়াশা কনকনে শীতে উদ্ধার কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাহত হলেও বিভিন্ন উদ্ধার সরঞ্জাম প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডুবন্ত ফেরিটি পদ্মার গভীর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়ার নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ৯টি যানবাহনসহ ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যায়। দুর্ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনে পদ্মায় ভাসমান অবস্থায় ফেরির ইঞ্জিন চালকের লাশ উদ্ধার হয়। অষ্টম দিনে আরও একটি ট্রাকসহ মোট ৮টি ট্রাক উদ্ধার হয়েছে। আরও একটি ট্রাক এখনো উদ্ধার হয়নি।