রাজবাড়ী ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
রাজবাড়ীতে বিদ্যালয়ের দেয়াল ভেঙ্গে বিএনপি নেতার বাড়ীর রাস্তা নির্মাণ রাজবাড়ীর মৃগী ইউনিয়ন বড়ইচারা গ্রামে বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় জমে কাদা কালুখালীতে বৃষ্টি ভেজা সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নছিমন খাদে নিহত গরু ব্যবসায়ী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায় রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ গ্রেপ্তার-১ মহানবী (সা.)-কে কটুক্তি: গণপিটুনির পর সেনা হেফাজতে আহম্মদ আলী রাজবাড়ীতে জমি দখল নিয়ে দোকানে হামলা, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ । রাজবাড়ীতে এক গৃহবধূ ঘরের সিলিংয়ের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা রাজবাড়ীতে ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার কালুখালী প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন

সালথায় অব্যবস্থাপনায় ময়লার ভাগাড়,স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পথচারী

মোঃমিরাজ হোসাইন
স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরের সালথা সদর বাজারে প্রবেশ পথে মাটিয়াদহ নদীর উপরে অবস্থিত ব্রীজের দুইপাশ যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। জনসচেতনতার অভাব আর দায়িত্ববানদের অবহেলা ও কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনায় গোটা বাজার যেন ময়লা- আবর্জনার বৃহৎ ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাট, অলিগলি, সর্বত্রই ময়লা – আবর্জনার ছড়াছড়ি।যে কারণে পথচারীদের এখন চলাফেরা করতে হয় নাক টিপে। নানা ধরনের ময়লা – আবর্জনার উৎকট গন্ধ পথচারীদের জীবনকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেললেও এর বিন্দু মাত্রও টের পান না কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৬ মাচ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সালথা বাজার থেকে ফরিদপুরে যাওয়ার পথে এবং ফরিদপুর থেকে সালথা বাজার প্রবেশ মুখে ব্রীজের দুইপাশে ফেলা ময়লা থেকে প্রচুর দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। যেখান দিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

জানা যায়, সালথা বাজারের সমস্ত ময়লা উক্ত ব্রীজের দুইপাশে ফেলা হয়। এমনকি বিভিন্ন পশুর বিষ্ঠাও এখানে ফেলা হয়। ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও পর্যাপ্ত আস্তাকুঁড়ের (ডাস্টবিন) অভাবে উক্ত জায়গাটি ফেলা হচ্ছে ময়লা। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এসব স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এছাড়াও নির্ধারিত ডাস্টবিন না থাকায় অধিকাংশ প্লাস্টিকের বর্জ্য বৃষ্টির পানির সঙ্গে বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা উক্ত নদীর পানিতে মিশছে। এতে করে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে এই নদীর পানি । ফলে সালথাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বলে জানা যায়।

ব্রীজটা জন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হওয়ায় এখান দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগী, বয়স্ক-বৃদ্ধ মানুষসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে।

সালথা বাজারের ব্যবসায়ী টিটুল বলেন, বাজারের নালাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ায় ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। আর ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যত্রতত্র ফেলতে বাধ্য হচ্ছে সবাই। বাজার ও পরিবেশ সমুন্নত রাখতে একটি ভাগাড় বিশেষ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালথা বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘আমাদের আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই; যার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান বালি এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সালথা বাজারের বনিক সমিতি, ইজারাদার ও সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে কথা বলে এর সমাধান করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

রাজবাড়ীতে বিদ্যালয়ের দেয়াল ভেঙ্গে বিএনপি নেতার বাড়ীর রাস্তা নির্মাণ

সালথায় অব্যবস্থাপনায় ময়লার ভাগাড়,স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পথচারী

প্রকাশিত : ১২:২০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

মোঃমিরাজ হোসাইন
স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরের সালথা সদর বাজারে প্রবেশ পথে মাটিয়াদহ নদীর উপরে অবস্থিত ব্রীজের দুইপাশ যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। জনসচেতনতার অভাব আর দায়িত্ববানদের অবহেলা ও কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনায় গোটা বাজার যেন ময়লা- আবর্জনার বৃহৎ ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাট, অলিগলি, সর্বত্রই ময়লা – আবর্জনার ছড়াছড়ি।যে কারণে পথচারীদের এখন চলাফেরা করতে হয় নাক টিপে। নানা ধরনের ময়লা – আবর্জনার উৎকট গন্ধ পথচারীদের জীবনকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেললেও এর বিন্দু মাত্রও টের পান না কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৬ মাচ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সালথা বাজার থেকে ফরিদপুরে যাওয়ার পথে এবং ফরিদপুর থেকে সালথা বাজার প্রবেশ মুখে ব্রীজের দুইপাশে ফেলা ময়লা থেকে প্রচুর দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। যেখান দিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

জানা যায়, সালথা বাজারের সমস্ত ময়লা উক্ত ব্রীজের দুইপাশে ফেলা হয়। এমনকি বিভিন্ন পশুর বিষ্ঠাও এখানে ফেলা হয়। ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও পর্যাপ্ত আস্তাকুঁড়ের (ডাস্টবিন) অভাবে উক্ত জায়গাটি ফেলা হচ্ছে ময়লা। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এসব স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এছাড়াও নির্ধারিত ডাস্টবিন না থাকায় অধিকাংশ প্লাস্টিকের বর্জ্য বৃষ্টির পানির সঙ্গে বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা উক্ত নদীর পানিতে মিশছে। এতে করে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে এই নদীর পানি । ফলে সালথাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বলে জানা যায়।

ব্রীজটা জন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হওয়ায় এখান দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগী, বয়স্ক-বৃদ্ধ মানুষসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে।

সালথা বাজারের ব্যবসায়ী টিটুল বলেন, বাজারের নালাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ায় ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। আর ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যত্রতত্র ফেলতে বাধ্য হচ্ছে সবাই। বাজার ও পরিবেশ সমুন্নত রাখতে একটি ভাগাড় বিশেষ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালথা বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘আমাদের আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই; যার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান বালি এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সালথা বাজারের বনিক সমিতি, ইজারাদার ও সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে কথা বলে এর সমাধান করা হবে।