
জহুরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন চালক। এতে কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে তাকে সতর্ক করলেও কোনো কিছুকেই পরোয়া করেন না তিনি। ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম মাসুদ আহমেদ লিটন। তিনি ফরিদপুর জেলা সদরের ঝিলটুলি এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারীতে যোগদানের পরই তাকে কমপ্লেক্সের মধ্যে সরকারি বাসভবন বুঝে দেওয়া হয়েছে। তবুও তিনি প্রতিদিন বিকেল বা সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ৪০ কিলোমিটার দূরে জেলা সদরে পরিবারের সঙ্গে রাত্রিযাপন করেন। সকালেও খেয়াল-খুশি মতো ফেরেন তিনি। যে কারণে সরকারি এই জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা প্রত্যাশী রোগীরা। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারিভাবে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া আইনত অপরাধ হলেও ব্যক্তি বিশেষ কোনো কোনো রোগীর স্বজনদের থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মাসুদ আহমেদ লিটন রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২০২৩ সালের মে মাসে বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। যার মধ্যে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, খেয়াল খুশি মতো দায়িত্ব পালন, নির্ধারিত ভাড়া থেকে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায়, গমন-প্রত্যাগমন রেজিস্ট্রার খাতা লিপিবদ্ধ না করা, সেবা গ্রাহকদের ভাড়ার রিসিট না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, নিজের ব্যক্তগত কাজে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার, কর্মস্থলে বায়োমেট্রিক হাতের ছাপ রেজিস্ট্রেশন না করা, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে বায়োমেট্রিক হাতের ছাপ দিতে অনিহা প্রকাশসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।