রাজবাড়ী ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
রাজবাড়ীর মৃগী ইউনিয়ন বড়ইচারা গ্রামে বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় জমে কাদা কালুখালীতে বৃষ্টি ভেজা সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নছিমন খাদে নিহত গরু ব্যবসায়ী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায় রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ গ্রেপ্তার-১ মহানবী (সা.)-কে কটুক্তি: গণপিটুনির পর সেনা হেফাজতে আহম্মদ আলী রাজবাড়ীতে জমি দখল নিয়ে দোকানে হামলা, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ । রাজবাড়ীতে এক গৃহবধূ ঘরের সিলিংয়ের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা রাজবাড়ীতে ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার কালুখালী প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন ইসলামপুর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভি জি এফ এর চাউল বিতরণ

রাজবাড়ী দৌলতদিয়া পদ্মার ভাঙনে বিলীন ৫ দোকান

জেলা প্রতিনিধি ( রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট আবারও ভাঙনের কবলে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঘাটের পন্টুন ওপরে উঠে এসেছে। প্রবল ঝড়ে সৃষ্ট ঢেউয়ে নদীর পাড় ঘেঁষে থাকা দুটি হোটেল, তিনটি মুদি দোকান ও একটি নলকূপসহ পাড়ে বাঁধা তিনটি ট্রলার ডুবে গেছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সরেজমিন দেখা গেছে, ৫ নম্বর ফেরিঘাটের বেশকিছু অংশ ভেঙে পড়ে আছে। ঘাটে গড়ে ওঠা হোটেল ও মুদি দোকান নদীতে তলিয়ে গেছে। ফেরিঘাটের আর কিছু অংশ ভাঙলে পাকা সড়কও নদীতে চলে যাবে।নদীতে বিলীন এক হোটেলের মালিক শাহীন শেখ বলেন, ‌‘গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে থেকে ঝড়ের গতিবেগ লক্ষ্য করছিলাম। ঝড়ের গতিবেগ বাড়তে বাড়তে নদীতে ঢেউও বেড়ে যায়। এর বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়লে মালামাল সরাতে থাকি। প্রচন্ড ঢেউয়ে ভাঙন শুরু হলে হোটেল ফেলে বের হয়ে যাই। তারপর ঝড় কমলে ফিরে এসে দেখি, আমার হোটেলসহ আক্কাছের হোটেল এবং বাবুল, রফিক ও এখলাসের মুদি দোকান, পাড়ে বাঁধা তিটি ট্রলার নেই। পাড়ের কিনারে তাকিয়ে দেখি, পানিতে ভেসে আছে শুকনো বাঁশ, আপেলের গায়ে থাকা প্লাস্টিকের মোড়ক ও পানির বোতল।’

তিনি আরও বলেন, ‘নদীতে আমাদের দোকান-পাট তলিয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। এখন কী করে দিন চলবে সেটাই ভাবছি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এমনিতেই ঘাটে নদী পার হতে আসা যানবাহন কমে গেছে। আয়-রোজগার অনেক দিন ধরেই কম। এর ওপর আবার নদীতে দোকান-পাট বিলীন হয়ে আজ নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমাদের দেখার কেউ নেই। আমাদের সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দিন জানান, সোমবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পদ্মা নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। তীব্র স্রোতে ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কিছুটা অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুন রক্ষা করতে পেরেছি। বর্তমানে সাতটি ঘাটের মধ্যে চারটি ঘাট সচল রয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

রাজবাড়ীর মৃগী ইউনিয়ন বড়ইচারা গ্রামে বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় জমে কাদা

রাজবাড়ী দৌলতদিয়া পদ্মার ভাঙনে বিলীন ৫ দোকান

প্রকাশিত : ০৩:২৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

জেলা প্রতিনিধি ( রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট আবারও ভাঙনের কবলে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঘাটের পন্টুন ওপরে উঠে এসেছে। প্রবল ঝড়ে সৃষ্ট ঢেউয়ে নদীর পাড় ঘেঁষে থাকা দুটি হোটেল, তিনটি মুদি দোকান ও একটি নলকূপসহ পাড়ে বাঁধা তিনটি ট্রলার ডুবে গেছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সরেজমিন দেখা গেছে, ৫ নম্বর ফেরিঘাটের বেশকিছু অংশ ভেঙে পড়ে আছে। ঘাটে গড়ে ওঠা হোটেল ও মুদি দোকান নদীতে তলিয়ে গেছে। ফেরিঘাটের আর কিছু অংশ ভাঙলে পাকা সড়কও নদীতে চলে যাবে।নদীতে বিলীন এক হোটেলের মালিক শাহীন শেখ বলেন, ‌‘গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে থেকে ঝড়ের গতিবেগ লক্ষ্য করছিলাম। ঝড়ের গতিবেগ বাড়তে বাড়তে নদীতে ঢেউও বেড়ে যায়। এর বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়লে মালামাল সরাতে থাকি। প্রচন্ড ঢেউয়ে ভাঙন শুরু হলে হোটেল ফেলে বের হয়ে যাই। তারপর ঝড় কমলে ফিরে এসে দেখি, আমার হোটেলসহ আক্কাছের হোটেল এবং বাবুল, রফিক ও এখলাসের মুদি দোকান, পাড়ে বাঁধা তিটি ট্রলার নেই। পাড়ের কিনারে তাকিয়ে দেখি, পানিতে ভেসে আছে শুকনো বাঁশ, আপেলের গায়ে থাকা প্লাস্টিকের মোড়ক ও পানির বোতল।’

তিনি আরও বলেন, ‘নদীতে আমাদের দোকান-পাট তলিয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। এখন কী করে দিন চলবে সেটাই ভাবছি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এমনিতেই ঘাটে নদী পার হতে আসা যানবাহন কমে গেছে। আয়-রোজগার অনেক দিন ধরেই কম। এর ওপর আবার নদীতে দোকান-পাট বিলীন হয়ে আজ নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমাদের দেখার কেউ নেই। আমাদের সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দিন জানান, সোমবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পদ্মা নদী উত্তাল হয়ে ওঠে। তীব্র স্রোতে ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কিছুটা অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুন রক্ষা করতে পেরেছি। বর্তমানে সাতটি ঘাটের মধ্যে চারটি ঘাট সচল রয়েছে।