রাজবাড়ী ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
রাজবাড়ীর মৃগী ইউনিয়ন বড়ইচারা গ্রামে বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় জমে কাদা কালুখালীতে বৃষ্টি ভেজা সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নছিমন খাদে নিহত গরু ব্যবসায়ী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায় রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ গ্রেপ্তার-১ মহানবী (সা.)-কে কটুক্তি: গণপিটুনির পর সেনা হেফাজতে আহম্মদ আলী রাজবাড়ীতে জমি দখল নিয়ে দোকানে হামলা, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ । রাজবাড়ীতে এক গৃহবধূ ঘরের সিলিংয়ের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা রাজবাড়ীতে ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার কালুখালী প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন ইসলামপুর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভি জি এফ এর চাউল বিতরণ

রাজবাড়ীতে পাটের বাজার কম হওয়াতে হতাশের মুখে পড়েছে কৃষক   

রাজবাড়ীতে পাটের বাজার কম হওয়াতে হতাশের মুখে পড়েছে কৃষক

 

রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী

 

গোয়ালন্দ উপজেলায় চলতি পাট মৌসুমে কৃষক পাট বিক্রি করে খরচের টাকাও উঠছে না। বাজারে পাটের মূল্য কম ও দিনমজুর শ্রমিকের মূল্য বেশি থাকায় পাট উৎপাদন করতে বেশি টাকা খরচ হয়েছে। রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যেমন বালিয়াকান্দি কালুখালী উজানচর, ছোট ভাকলা, দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চলতি বছরে ৪ হাজার ৩শত ১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানান। ভরা মৌসুমেও প্রচুর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষক জমি থেকে দূরদুরান্ত এলাকায় পাট নিয়ে পচাতে হচ্ছে। অনেক স্থানেই পাট পচানোর জন্য পুকুরের পানি ভাড়া নিতে হচ্ছে। কৃষক হোসেন মোল্লা জানান, ১ বিঘা জমির পাট পচানোর জন্য ২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে প্রতিটি পাট শ্রমিকের মূল্য ৮/৯ শত টাকা। অনেক স্থানেই পরিবহন খরচও বিঘা প্রতি ২/৩ হাজার টাকা হচ্ছে। পাট ব্যবসায়ী হোসেন জানান, বাজারে প্রতিমণ পাট ২২শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষক বিক্রি করছে। অপরদিকে কৃষকরা জানান, তাদের আয়ের একমাত্র উৎস পাট বিক্রি করে ঋণ পরিশোধসহ ছেলে মেয়েদের নতুন জামা-কাপড় কেনা হচ্ছে না। ১ মণ পাট বিক্রি করে ২ কেজি ইলিশ মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি বছর পাটের ন্যয্য মূল্য না পাওয়া আগামীতে পাটচাষীরা পাট উৎপাদনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খোকনুজ্জামান জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৪ হাজার ৩শত ১০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে। পাট রোপনের সময় প্রচন্ড খড়ায় গোয়ালন্দ উপজেলার পাটের উৎপাদনে মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। ৩০ শতাংশের প্রতি বিঘা জমিতে ভালো পাট উৎপাদন হলে ১২ মণ পর্যন্ত পাট পাওয়া যায়। চলতি বছর প্রতি বিঘা জমিতে ৮ মণের বেশি পাট হবে না। বৃষ্টি ও বন্যার পানি না থাকায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার একর জমির পাট নছিমন ও ট্রাকে করে গোয়ালন্দ মরা পদ্মানদী এলাকায় পাট পচাতে নিয়ে আসছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

রাজবাড়ীর মৃগী ইউনিয়ন বড়ইচারা গ্রামে বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় জমে কাদা

রাজবাড়ীতে পাটের বাজার কম হওয়াতে হতাশের মুখে পড়েছে কৃষক   

প্রকাশিত : ০১:৩২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

রাজবাড়ীতে পাটের বাজার কম হওয়াতে হতাশের মুখে পড়েছে কৃষক

 

রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী

 

গোয়ালন্দ উপজেলায় চলতি পাট মৌসুমে কৃষক পাট বিক্রি করে খরচের টাকাও উঠছে না। বাজারে পাটের মূল্য কম ও দিনমজুর শ্রমিকের মূল্য বেশি থাকায় পাট উৎপাদন করতে বেশি টাকা খরচ হয়েছে। রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যেমন বালিয়াকান্দি কালুখালী উজানচর, ছোট ভাকলা, দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চলতি বছরে ৪ হাজার ৩শত ১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানান। ভরা মৌসুমেও প্রচুর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষক জমি থেকে দূরদুরান্ত এলাকায় পাট নিয়ে পচাতে হচ্ছে। অনেক স্থানেই পাট পচানোর জন্য পুকুরের পানি ভাড়া নিতে হচ্ছে। কৃষক হোসেন মোল্লা জানান, ১ বিঘা জমির পাট পচানোর জন্য ২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে প্রতিটি পাট শ্রমিকের মূল্য ৮/৯ শত টাকা। অনেক স্থানেই পরিবহন খরচও বিঘা প্রতি ২/৩ হাজার টাকা হচ্ছে। পাট ব্যবসায়ী হোসেন জানান, বাজারে প্রতিমণ পাট ২২শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষক বিক্রি করছে। অপরদিকে কৃষকরা জানান, তাদের আয়ের একমাত্র উৎস পাট বিক্রি করে ঋণ পরিশোধসহ ছেলে মেয়েদের নতুন জামা-কাপড় কেনা হচ্ছে না। ১ মণ পাট বিক্রি করে ২ কেজি ইলিশ মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি বছর পাটের ন্যয্য মূল্য না পাওয়া আগামীতে পাটচাষীরা পাট উৎপাদনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খোকনুজ্জামান জানান, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৪ হাজার ৩শত ১০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে। পাট রোপনের সময় প্রচন্ড খড়ায় গোয়ালন্দ উপজেলার পাটের উৎপাদনে মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। ৩০ শতাংশের প্রতি বিঘা জমিতে ভালো পাট উৎপাদন হলে ১২ মণ পর্যন্ত পাট পাওয়া যায়। চলতি বছর প্রতি বিঘা জমিতে ৮ মণের বেশি পাট হবে না। বৃষ্টি ও বন্যার পানি না থাকায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার একর জমির পাট নছিমন ও ট্রাকে করে গোয়ালন্দ মরা পদ্মানদী এলাকায় পাট পচাতে নিয়ে আসছে।