স্টাফ রিপোর্টার

আজ ২২ নভেম্বর ২০২৫ রোজ শনিবার বেলা দশটায় রাজবাড়ী কনভেনশন সেন্টারে নান্নু টাওয়ার,রাজবাড়ী জেলার পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা ব্রিজ বাস্তবায়ন কমিটির সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাজবাড়ী জেলা পদ্মা ব্যারেজ ও ব্রিজ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সালাম তাসির এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পদ্মা ব্রিজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা সহ উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক এমপি ও ২য়পদ্মা ব্রিজ ও ব্যারেজ বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি জননেতা আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ামকে ফারাক্কার ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে দেশ রক্ষার দূরদর্শী মাওলানা ভাসানীর লং মার্চ ফর ফারাক্কা, সাথে এই পদ্মা ব্যারেজ ও পদ্মা ব্রিজ বাস্তবায়ন আন্দোলনকে তুলনা করে বক্তব্য রাখেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার মহোদয়ের বিশেষ সহকারী জনাব মনির হায়দার। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা পদ্মা ব্যারেজ ও ২য় পদ্মাব্রিজ বাস্তবায়ন এখন জাতির জন্য অগ্রাধিকার হিসেবে গুরুত্বের সাথে গণ্য করেছেন বলে জানান। সেমিনার যারা উপস্থিত ছিলেন এবং মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন তারা হলেন , পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য এবং সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য জনাব আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জনাব এস এম মতিউর রহমান (অবঃ) সম্মানিত উপদেষ্টা ও সদস্য ওয়ার্কিং কমিটি,তিনি বলেন পদ্মা ব্যারেজ ও ব্রিজ হলে সাথে এই জেলায় আর্মি ক্যান্টনমেন্ট হবে ।পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি, জনাব গোলাম মসীহ সাবেক রাষ্ট্রদূত, ওআইসি’র স্থায়ী প্রতিনিধি সদস্য ওয়ার্কিং কমিটি, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি জনাব খোন্দকার আব্দুস সাত্তার,সাবেক রাষ্ট্রদূত সদস্য ওয়ার্কিং কমিটি, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জনাব আবু ওহাব মোঃ হাফীজুল হক (অবঃ) মহাসচিব,পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি,জনাব মো: জাহাঙ্গীর হোসেন জালাল,প্রধান সমন্বয়ক ও সদস্য ওয়ার্কিং কমিটি, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোহসীন (অবঃ)সদস্য ওয়ার্কিং কমিটি, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি,জনাব মো: নজরুল ইসলাম খোকন সদস্য, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি, বিষয়ভিত্তিক আলোচনার ১ম পর্বে ছিল “ফারাক্কা ব্যারেজ ও বাংলাদেশের সংকট’ এবং ‘পদ্মা ব্যারেজ ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ প্রকৌশলী মো: আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সদস্য ওয়ার্কিং কমিটি, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিট,প্রকৌশলী মো: মাহফুজুর রহমান, সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, সদস্য ওয়ার্কিং কমিটি, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি। দ্বিতীয় পর্বের বিষয় ছিল “দ্বিতীয় পদ্মা সেতু ও আগামীর সম্ভাবনা” প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন শামীম, সদস্য ওয়ার্কিং কমিটি, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি। তৃতীয় পর্বের বিষয়বস্তু ছিল“কেমন রাজবাড়ী চাই: আলোকিত রাজবাড়ী * অ্যানিমেশন প্রদর্শণ,অর্ণব নেওয়াজ মাহমুদ হৃষিত ও সাদাত খান, সদস্য জাতীয় নির্বাহী কমিটি, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি।প্রায় পনেরো টি ক্যাটাগরির ছয়শোর উপরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার আমন্ত্রিত ডেলিগেট সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। শৃঙ্খলা সুষ্ঠ ভাবে রেজিস্ট্রেশন পরিচালনার জন্য স্কাউট ও রোভার স্কাউটের একটি দল সার্বক্ষণিক কর্মরত ছিল। সম্মানিত অতিথিবৃন্দ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক আকরাম হোসেন, সদস্য সচিব চৌধুরী আহসানুল করিম ও প্রচার সম্পাদক কবি খোকন মাহমুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাস্তব জেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক সানজিদা খাতুন ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস কে আব্দুর রউফ হিটু। ফারাক্কা বাঁধের কারণে রাজবাড়ী সহ দেশের ২৬ টি জেলার বাংলাদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ এলাকার কৃষি ,শিল্প ,বাণিজ্য অর্থনীতি আজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, একই সাথে জলবায়ু পরিবেশে জানিতে বিপর্যয় যোগ হয়ে মানুষের স্বাস্থ্য মন এবং মননের উপর অত্যান্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে । ফারাক্কা বাঁধ আজ আমাদের অস্তিত্বের হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সেমিনারে এর থেকে উত্তরণের উপায় এবং আলোকিত রাজবাড়ী বিষয়ক ব্যাপক  আলোচনা হয়। এক গবেষণা তথ্যে জানা যায় বিগত ৫০ বছরে ফারাক্কার প্রভাবে,নানা ভাবে বাংলাদেশ প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণে দ্বিতীয় পদ্মা ব্রিজ ও ব্যারেজ বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। যার সাথে ২৬ টি জেলার প্রায় ছয় কোটির বেশি মানুষের স্বার্থ তথা জাতীয় স্বার্থ জড়িত। এটি বাস্তবায়িত হলে ফারাক্কার ক্ষতিকর প্রভাব মুক্ত থেকে আলোকিত সমৃদ্ধ রাজবাড়ী গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে সবাই মনে করেন।এই নেতা সহ উপস্থিত সবাই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে জেলার সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের সাথে নিয়ে উদ্যোগ সফল করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।