রাজবাড়ী ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
রাজবাড়ীর মৃগী ইউনিয়ন বড়ইচারা গ্রামে বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় জমে কাদা কালুখালীতে বৃষ্টি ভেজা সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নছিমন খাদে নিহত গরু ব্যবসায়ী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায় রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ গ্রেপ্তার-১ মহানবী (সা.)-কে কটুক্তি: গণপিটুনির পর সেনা হেফাজতে আহম্মদ আলী রাজবাড়ীতে জমি দখল নিয়ে দোকানে হামলা, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ । রাজবাড়ীতে এক গৃহবধূ ঘরের সিলিংয়ের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা রাজবাড়ীতে ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার কালুখালী প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন ইসলামপুর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভি জি এফ এর চাউল বিতরণ

মন্ত্রী বিলাস : উপসম্পাদকীয় মমতাজ হোসেন চৌধুরী

  • রাজবাড়ী সময় ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১২:৩২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৭১৯ বার পড়া হয়েছে

মন্ত্রী বিলাস

——————

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট নেতা কর্মীরা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারন জনগনের কিয়দংশ গত দুদিন যাবত বর্তমান সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নাম বা তালিকা নিয়ে সরগরম ছিলেন , দেখা গেছে অনেকেই সম্ভাব্য মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন বা যাঁদের নাম আলোচনায় ছিল তাদের বাসা বাড়ীতে ফুলের তোড়া নিয়ে উপস্তিত হতে কার্পণ্য বোধ করেননি । তালিকা প্রকাশের পর এই জায়গায় অনেকের অবস্তান ছিল এমন , আমার জেলায় একটি বা দুটি বা আমার বিভাগে বেশী এ ধরনের হিসেব নিকাশ । এমনকি ভিন্ন মতাবলম্বী অনেকেই এলাকার মন্ত্রী পদ নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন ।
মন্ত্রী নিয়ে গর্ববোধ বা শক্তিবোধ হতেই পারে যদিও মাননীয় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা কোন এলাকার নির্দিষ্ট প্রতিনিধি নন , উনি মাননীঁয প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত নির্দিষ্ট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রের একজন দায়িত্বশীল অফিস বেয়ারার। এধরনের চাকুরী যে কোন সময় চলে যেতে পারে বা অনেক দেশে নিজের ব্যর্থতার দায়ে অনেকেই চলে যান । তবে এটা বলা যায় নিজ এলাকায় মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নিয়োগপ্রাপ্ত হলে বিশেষ করে নিজ এলাকায় বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আসতে সক্ষম হন ও সরকারী বাড়তি অনুদান, সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন , তাই নেতা কর্মীরা বেশী উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন ।
আমি নেত্রকোণা জেলার অধিবাসী , আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কমবেশী অনেকের সংগে পরিচিত , ২০১৮ সালে আমার জেলায় একজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন , আমি খুশী হয়ে অভিনন্দন অবশ্যই জানিয়েছিলাম তবে অফিসে যোগদানের পর পাঁচ বছরে একদিন ও কোন কাজে অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি বা যায়নি যা ব্যক্তিগত বটে, এলাকার উন্নয়ন কতটুকু বাগিয়ে নিয়েছেন তা এলাকাবাসীর হাতেই রইলো ।

আমাদের বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ আওয়ামী লীগের সুতিকাগার যা অনেক নির্বাচনে আমরা প্রমান রেখেছি । এমনকি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পিছনে ময়মনসিংহ অন্চলের সমর্থন বিরাট ভুমিকা রেখেছিল বলে অনেকেই জানেন । মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার । ভোটের বিবেচনায় আমরা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অন্চল ও আমার নিজ জেলা নেত্রকোণায় গুরুত্বপুর্ন মন্ত্রনালয়ের প্রত্যাশা করি। আজ সন্ধ্যায় নুতন মন্ত্রী সভার শপথ গ্রহনের মধ্য দিয়ে সরকারের যাত্রা শুরু হবে , আমরা সরকারের সফলতা কামনা করছি ও মন্ত্রী সভার সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই । জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সকল চ্যালেন্জ মোকাবেলা করে দেশকে কাঙ্খিত লক্ষে পৌছে দিতে পারবে বলে আশাবাদী । শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ
পথ হারাবেনা বাংলাদেশ ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

রাজবাড়ীর মৃগী ইউনিয়ন বড়ইচারা গ্রামে বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় জমে কাদা

মন্ত্রী বিলাস : উপসম্পাদকীয় মমতাজ হোসেন চৌধুরী

প্রকাশিত : ১২:৩২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

মন্ত্রী বিলাস

——————

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট নেতা কর্মীরা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারন জনগনের কিয়দংশ গত দুদিন যাবত বর্তমান সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর নাম বা তালিকা নিয়ে সরগরম ছিলেন , দেখা গেছে অনেকেই সম্ভাব্য মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন বা যাঁদের নাম আলোচনায় ছিল তাদের বাসা বাড়ীতে ফুলের তোড়া নিয়ে উপস্তিত হতে কার্পণ্য বোধ করেননি । তালিকা প্রকাশের পর এই জায়গায় অনেকের অবস্তান ছিল এমন , আমার জেলায় একটি বা দুটি বা আমার বিভাগে বেশী এ ধরনের হিসেব নিকাশ । এমনকি ভিন্ন মতাবলম্বী অনেকেই এলাকার মন্ত্রী পদ নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন ।
মন্ত্রী নিয়ে গর্ববোধ বা শক্তিবোধ হতেই পারে যদিও মাননীয় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা কোন এলাকার নির্দিষ্ট প্রতিনিধি নন , উনি মাননীঁয প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত নির্দিষ্ট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রের একজন দায়িত্বশীল অফিস বেয়ারার। এধরনের চাকুরী যে কোন সময় চলে যেতে পারে বা অনেক দেশে নিজের ব্যর্থতার দায়ে অনেকেই চলে যান । তবে এটা বলা যায় নিজ এলাকায় মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নিয়োগপ্রাপ্ত হলে বিশেষ করে নিজ এলাকায় বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আসতে সক্ষম হন ও সরকারী বাড়তি অনুদান, সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন , তাই নেতা কর্মীরা বেশী উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন ।
আমি নেত্রকোণা জেলার অধিবাসী , আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কমবেশী অনেকের সংগে পরিচিত , ২০১৮ সালে আমার জেলায় একজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন , আমি খুশী হয়ে অভিনন্দন অবশ্যই জানিয়েছিলাম তবে অফিসে যোগদানের পর পাঁচ বছরে একদিন ও কোন কাজে অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি বা যায়নি যা ব্যক্তিগত বটে, এলাকার উন্নয়ন কতটুকু বাগিয়ে নিয়েছেন তা এলাকাবাসীর হাতেই রইলো ।

আমাদের বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ আওয়ামী লীগের সুতিকাগার যা অনেক নির্বাচনে আমরা প্রমান রেখেছি । এমনকি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পিছনে ময়মনসিংহ অন্চলের সমর্থন বিরাট ভুমিকা রেখেছিল বলে অনেকেই জানেন । মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার । ভোটের বিবেচনায় আমরা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অন্চল ও আমার নিজ জেলা নেত্রকোণায় গুরুত্বপুর্ন মন্ত্রনালয়ের প্রত্যাশা করি। আজ সন্ধ্যায় নুতন মন্ত্রী সভার শপথ গ্রহনের মধ্য দিয়ে সরকারের যাত্রা শুরু হবে , আমরা সরকারের সফলতা কামনা করছি ও মন্ত্রী সভার সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই । জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সকল চ্যালেন্জ মোকাবেলা করে দেশকে কাঙ্খিত লক্ষে পৌছে দিতে পারবে বলে আশাবাদী । শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ
পথ হারাবেনা বাংলাদেশ ।